মাঝখানে অপরূপ সুন্দর বাগান খানি
এদিকে আযান ধ্বনি ওদিকে স্তবের বাণী
মন হয়ে যায় এক প্রবিত্র শান্তির জলধারা
শুধু ধেয়ে চলে আনন্দ ছন্দে পাগলপারা ।
      হাতে একরাশ টাটকা রক্তগোলাপ
      জড়িয়ে রাখা জড়ির ফিতা দিয়ে ।
      আসবে সে ছড়িয়ে দেবে মুক্তো হাসি
      হাতে তার তুলে দেব গোলাপ রাশি ।
সময় পেরিয়ে যায় তার সাধারণ নিয়মে
গোলাপগুলি কখনো ডাইনে কখনো বামে
আবার বসে থাকা চেয়ারে এমনি রাখা
কই সে আসেনা যার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা!
     চোখের সমুখে এ কার মুখ ওঠে ভেসে
     আসতে পথের ধরে সে ছিল ঠায় বসে ।
     পায়ে কাপড় বাঁধা, হাত তার ভিক্ষা মাগে
     অবিনস্ত বেশভুষা আর ক্লান্তি সারা মুখে ।
সুরুজ পশ্চিমে ঢলে যেতে একফালি চাঁদের আকাশ
ক্রমেই যেন অসহ্য অপমান ফুলের অপেক্ষা শেষ ।
একে একে ফুল রেখেছি সেই ভিখারীর সামনে
একটা শুধু রক্ত গোলাপ নিলাম দাম দিয়ে কিনে ।
    একদিন সেই পথে কী জানি কিসের সন্ধানে
    নতুন ফুলের দোকান একেবারে সেই স্থানে ।
    দোকানেতে বেসাতি করে সেই পরিচিত মুখ
    মেলে কৃতজ্ঞ হাসি এ পরম প্রাপ্তি পবিত্র সুখ।