সে মানুষ খুঁজে ফেরে পরশপাথর
জঙ্গল পাহাড় এখানে ওখানে সবখানে।
বটবৃক্ষ তলে বসে এক তপস্বী যেন
জিজ্ঞাসিল সে তাহারে সে কি জানে?


মৃদুভাষী হাসিয়া সেই তপস্বী কহে
বত্স তিষ্ঠ ক্ষণেক হোক না ভোর ;
উত্কন্ঠায় কৌতুহলী সে মানুষ বলে
প্রভু এখনি কহো তর সহেনা যে মোর।


তবে যাও বত্স ওই নদীর তীরে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেথা হাজার নুড়ি ।
একে একে ছোয়াও তোমার লৌহ বলয়
ওরই মাঝে পেয়ে যাবে কাঙ্খিত সে নুড়ি ।


সে মানুষ তীরবেগে ছোটে নদীতীরে
বিস্ফারিত নয়নে এখানেই পরশপাথর!
নানাকারে ছড়িয়ে সেথা কত যে নুড়ি
সহাস্যে কর্মরত তখন কেটেছে আঁধার।


একহাতে নুড়ি একহাতে তার লৌহবলয়
একে একে ছুঁয়ে বাম থেকে ডানে ফেলে ।
একমনে একধ্যানে একই কর্ম করে ফেরে
সূর্য কখন পূর্ব থেকে পশ্চিমে যায় হেলে ।


সেই তপস্বী প্রায় সন্ধ্যাকালে উপস্থিত হয়
বত্স মোর তুমি পেয়ে গেছো পরশপাথর ।
পান করো পানীয় করেছ অসাধ্য সাধন
চেয়ে দেখো লৌহবলয় হয়েছে সোনার ।


কেঁদে কহে প্রভু কোথা সে অমুল্যরতন ?
আমি যে তাকে পেয়েও আবার হারালাম ।
প্রভু কহে, যা তোমার প্রাপ্য তাইতো পাবে।
হে প্রভু, আজ তোমার চরণে শরন নিলাম ।