আঁকতে চেয়েছিলাম একটা মস্ত বড় আকাশ
পারিনি, পারিনি ফিরিয়ে দিতে সেই মুক্ত আকাশ ।
সবুজ ধানের ক্ষেতে বয়ে যেত যে বাতাস
আনতে পারিনি, বড় বিষাক্ত সেই বাতাস ।
যে মাঝিটা রোজ নিয়ে যেত মেঘনার ওপারে
বিনি পয়সায় তোমার মুখে হাসি দেখার তরে ।
ও বলতো “ দিদিমনি তোমার হাসি জোত্স্নার মতো,
শুধু ঝরে আর ঝরে” ও হারিয়ে গেছে বুদবুদের মতো ।
বিকেলে ধরে দিতে হতো ফড়িং প্রজাপতি আর,
একটা বাচ্ছা কাঠবেড়ালি এটা ছিল নতুন আবদার ।
সবই হতো ইচ্ছেমত একেবারে মনের মতন,
মরে যেত, ওরা সইতে পারতনা এত আদর যতন  ।
তারপর মারামারি কাটাকাটি হয়ে গেল দেশ ভাগ
হারিয়ে গেল ফুরিয়ে গেল মান অভিমান আর রাগ ।
এখনো ইচ্ছা করে জলের মধ্যে ডুব সাঁতার দিই
খেজুর গাছে উঠে পাটকাঠি দিয়ে রস শুষে নিই ।
ভাবনা গুলো স্বছ জলে চিরিক দেওয়া মাছের মতো
আসে আবার কথায় চলে যায়, মিলিয়ে যায় কত ।
পূর্নিমা এলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকি সারাক্ষণ
চাতকের মতো জোত্স্না খেয়ে ভরিয়ে ফেলি মন  ।
স্মৃতির পাতা উড়তে উড়তে সামনে এসে যখন পড়ে
জল থই থই বুকের মধ্যে বৃষ্টি ধারা অঝোর ঝরে ।