কিছুতেই চোখ বন্ধ করতে পারছিনা
দেখা হয়নি কোনদিন, তোমার নামটাও মনে করতে পারছিনা
যন্ত্রনা কাতর প্রতিবাদী মুখ ভেসে উঠছে চোখের সামনে
তুমি প্রশ্ন রেখেছ দৃড় তর্জনী তুলে বার বার
ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের রোশনী অথচ খুব শান্ত
যার উত্তর আমার জানা নেই, জানলেও বলার সাহস নেই
কি এক অদ্ভুত আগ্রহে বলছো শতাব্দীর লজ্জার ঘটনা ।
***সন্ধ্যে পেরোনো রাতে স্বপ্নের পুরুষের সাথে রাজধানীর বুকে
প্রায় খালি বাসে উঠে পরা কি খুব অন্যায় ?
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে কেমন প্রজাপতির মত
হালকা পালক মনে হতো আমার নিজেকে
ফেব্রুয়ারী ২০১৩ খুব বেশিদিন দেরী নেই
যখন লালচেলী আর মেহেন্দিতে নিজেকে সাজাব
ডিসেম্বর ১৬-র রাতে ছিঁড়ে ছড়িয়ে গেল সে স্বপ্নমালা
বন্ধুর অপমানে বিদ্রোহী মনে প্রতিবাদ করেছিলাম
খুব কি অন্যায় করেছিলাম ?
হটাত ছবি পাল্টে যেতে থাকে, বন্ধু তখন অচেতন
হায়েনার মত চোখ জ্বলছে ওদের, অতর্কিতে হামলা
নিজেকে সামাল দেবার আর কোন রাস্তা নেই ।
নারীর সম্মান একটু একটু করে শকুনের দখলে
এই অনাবৃত শরীর ঘিরে চলতে থাকে তখন মহাভোজ
বিশ্বাস করো দারুন যন্ত্রনায় শীতের রাত-ও কেঁপে উঠেছিল
কি এক শুন্যতায় আমার চোখের জল শুকিয়ে গেছিল
চরম যন্ত্রনায় শরীরের সব শক্তি
এক করে গর্জে উঠি বাঁ... চা... ও...
ছয় শয়তানের ক্রুর হাসিতে ঢেকে যায় সেই আর্তনাদ
তখন-ই মাথায় সজোরে আঘাত তারপর...সব অন্ধকার
রাতে কুয়াশায় আমাদের শেষ আশ্রয়  
তারপর আর জানিনা ।
ওদের ক্ষমা করে দেব না চরম শাস্তি দেবো!
প্রশ্নের উত্তর দেবে ?
স্ত্রীজাতির একটাই পরিচয় ওরা জানে
ওরা মাতৃ জঠরের কলঙ্ক
বার বার নাম পাল্টে ওরা থাকে এখানে ওখানে সবখানে
ওরা সমাজের আতঙ্ক, সমাজে ওদের ঠায় হতে পারেনা
নিরাপত্তার ঘেরাটোপে যারা,
তারা তোমার আমার কথা ভাবেনা
ওরা চলে বলে কৌশলে
সাজানো ঘটনা বলে উড়িয়ে দেবে
তাই নিরাপত্তা ভিক্ষা না করে,
রুখে দাঁড়াও সেই অসহায় মুহুর্তে
মোমের বাতি জ্বালো, আওয়াজ তোল এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে
শয়নে স্বপনে জাগরণে মনের দুয়ারে কড়াঘাত করি বার বার
শপথ নাও রাস্তায় নাম হাতের মুঠি শক্ত করে বলো...
‘এমনটা হতে আর কখনই দেবনা ‘
বদলে দিতে তোমায় দরকার পারবেনা আমার হাত ধরতে ?