প্রানের বাঁশী কেঁদে ফেরে ভুখা পেটে সুখা মাঠে
ঝিঝি পোকার কান্না শুনি দিনে রাতে মাঠে ঘাটে
          আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
রাতের আঁধার চোখ ঢাকে, রক্ত নেশায় হায়না জাগে
অবাক রাতের তারারা দেখে রূপকথারা ভিক্ষা মাগে
          আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
যেই পাঁকেতে পদ্ম ফোটে পরান পিদিম নেভে তাতে
উঠবে নাকি নতুন সুরজ  বিধর্মীর রক্ত স্নানে  মেতে  
           আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
ত্রিফলায় কার  দুধের বাছা, জঠরে করে মৃত্যু অপেক্ষা
আগুন শিখা আকাশ ছোবে জানকীর অগ্নি পরীক্ষা
          আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
চোখের জলে বন্ধ্যা মাটি নতুন করে ফলবে সোনা
বুকের হাঁপড় বাতাস খোঁজে হৃদয় খুঁড়ে শুধু যন্ত্রনা  
          আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
অন্তরে যার এতই বিষ ত্যাগের মন্ত্র তার মুখে
গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বপ্ন আশা রথের চাকা চলছে সুখে
           আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
এই রাতের কি শেষ নেই? কতদুর আলোর নিশানা
মুখোশধারী ও কোন ধ্যানী ? থমকে দাঁড়ায় প্রাণ-বীনা
          আমার ঘুম আসেনা চোখে ।
শান্তি নামুক বৃষ্টি ধারায় ঝরছে  ঝরুক অঝোর ঝরে
বাতাস মাতুক উতাল হয়ে আযান আর মন্ত্র সুরে
           আসবে ঘুম দুচোখ জুড়ে।।