কতই বা হবে কুড়ি বসন্ত সবে পেরিয়েছে
এখনো আলগোছে শিশুর সারল্য মুখে ।
যখন সে নিজের ভুলটাকে বুঝে যেত
ডানহাতে মাথা চুলকে জুঁই ফোটাতো মুখে ।
লাউ ডগা যেমন লক লক করে বেড়ে ওঠে
ঠিক তেমনি হটাত্ করে মাথা ছাড়ায় ।
কলেজ পড়ার শেষে বেশ খানিকটা দিশাহারা
চুপিসারে শরীরে নিয়ত যৌবন হানা দেয় ।
এখন বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ফেলে
সূর্যের মতো কিরণ ছড়ায় মাঠ প্রান্তরে ।
বুকের মধ্যে আকাশ ছোঁয়ার উদোম ইচ্ছা
বাধার প্রাচীর ভাঙে বাঁধন শিকল ছেঁড়ে ।
দুচাকার শয়তান ফন্দি আঁটে মিচকি হাসে
উড়ন্ত ডানা রাজপথে ছেঁটে রক্ত খেলায় মাতে।
খুলবেনা আঁখি শূন্য খাঁচায় আর ফিরবেনা পাখী
মন খোঁজে সান্ত্বনা, রাত জাগে মা গরম ভাতে ।