আমি কৃষ্ণকলি
সজল ঘন আষাঢ় মেঘের পুলক জাগে দেখে  আমায়
দিনের আলোয় কালচে ভ্রমর গুণগুনিয়ে কি গান গায় ।
হলদে লাল সন্ধ্যামনি পাপড়ি তার দেয় যে মেলি
আঁধার আকাশ জুড়ে মিটমিটিয়ে ফুটলো তারাগুলি।
দীঘল চোখে খুঁজতে থাকি অন্তরালের যত্ত পাখী
কোয়েল দোয়েল শ্যামা শালিক করছে ডাকাডাকি।
বারেবারে মনে করায় ''যৌবন তোর দোরগোড়ায়''
শরীরে জুড়ে আগুন জ্বলে ওঠে,লজ্জাতে লাল নই।


আমি কৃষ্ণকলি
আমার জন্য লাল চেলি,  সন্ধেবেলায় বাজলো সানাই
একে একে মালাবদল শুভদৃষ্টি তবু লজ্জাবতী মুখ লুকাই।
মনের ভিতর উথাল পাথাল না জানি এরপরে কি হ্য়
রাতের মত রাত জাগি হায় মধু যামিনী যায় বৃথা যায়  ।
আমার সেজন ভোলাভালা আর রা কাটেনা সাত চড়ে
নামেই পুরুষ কাজেতে নয়, এমন বর কেন দিলে ধরে ?
দুবেলা দুটি খেতাম থাকতাম নাহয় ঘরের এককোনে
হয়তো হয়েছি কাঁটা তাই ভাসান,তোমরা গেলে বেঁচে ।