তবু বোশেখ আসে দ্বারে তুমি চাও বা না চাও
নীল জলে তরঙ ওঠবে তুমি চাও বা না চাও
মেকী হাসিতে তুফান ঝরবে তোমার জন্য ফাও
এ দেখি নকল মন্ত্র মুগ্ধতা আসল করে উধাও ।


তবু বোশেখ আসে উঠানে আজ আঁকা আল্পনা কই
বাজারী আল্পনা সদর থেকে গর্ভগৃহে নেয় যে ঠায়
অতি যত্নে ঠাকুর ঘরে সাজানো শংখ মটরমালায়
রাঙা ঠোটে অনেক কষ্ট বুঝি  তাইতো উলুধনী নাই ।


তবু বোশেখ আসে চৈত্র শেষে ঘুরছে কালের চাকা
নববর্ষের নিমন্ত্রন পত্রে সেই ছেলেটা বানায়না আর পাখা
সেই মেয়েটা ভুলেই গেছে নতুন জামার গন্ধ শুঁকে রাখা
খবর এলো আসবে না সে আসে মুঠোফোনে মাসের টাকা ।


তবু বোশেখ আসে উত্সবী মন দোলে কাঠফাটা রোদ্দুরে
আগুন ঝলসানিতে শিমুল ফাটে বুড়ির চুল হাওয়ায় উড়ে
কি যেন হ্য় শরীর জুড়ে জীবন যখন নাগরদোলায় ঘোরে
নতুন বর্ষ জাঁকিয়ে বসলো মলিন বস্ত্রে অতীত গেল ফিরে ।