এবারে বোধ হ্য় তোর মুক্তি হলো
তোর চলে যাওয়া পথ ছিল অন্ধকার
প্রজাপতিরা ডানা ভেঙে পড়েছিল ।
রঙিন ফুলেরা নিজ নিজ রং লুকিয়ে ছিল
হলদে কালো পাখীটা ডাকতে ভুলে গেল
আকাশ ভেঙে বৃষ্টি এল ।
সব জ্বালা যন্ত্রনা নিমেষে জুড়িয়ে গেল
নরম হাত যে ব্যথার জায়গায় আসে বারবার!
খচখচ করতেই থাকে সেই পুরনো কাঁটা,
মনে করিয়ে দিস হাসি কান্নার সেই দিন ।


ফিরে গেছে  শীত বর্ষা বসন্ত সময়
অন্ধকারে চোখ জ্বেলে রেখে রেখে শ্রান্ত
ওই তো দুরে দেখি তোর আদলে অন্য কেউ
এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে ।
যেন আদি অনন্ত থেকে পথ হাঁটছে
দিশাতে নেই অস্পষ্টতা মুখে স্মিত হাসি
ফেলে আসা চিহ্নগুলো একটু করে মুছে যাচ্ছে ।
অনেক কান্না একসাথে ঝরে যেতে থাকলো!
কোন বন্ধনেই আর আটকে রাখা গেল না ,
নরম হাতে মুছিয়ে দিলি দুচোখ
যেন কত দিনের চেনা ।