হটাত কেন জানি মনে হল তুমি ঠিক মাথার কাছে
এলো মেলো চুলে খুব পরিচিত চেনা মানুষের পরশ ।
    সমুদ্রের ঢেউ যেমন গর্জন করে বার বার তীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    বুকের মধ্যে তেমন উথাল পাথাল,আমার চোখ বুঁজে এলো ।
এই সময়টা থাকুক অনেকক্ষন, ভয়ে ভয়ে চোখ খুলছিনা ।
মুঠোফোন বার বার বাজছে, ফোনটা ইচ্ছা করেই ধরছিনা ।
    মিষ্টি এক গন্ধের আনাগোনায় বাতাস সুবাসিত...
    কি এক অজানা আলোয় ঘর যেন আলোকিত ...
কি সে আবেগ ? ভয় নাকি আনন্দ ? মুখে কথা ফুটছেনা !
লক্ষ যোজন দূর ! তবে কি সে এলো ? না ! সেটা অসম্ভব!
একটা শীর্ণ হাত এগিয়ে আসে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে ওঠে
   " আমার হাতটা ধরবিনা ...
যখন ছোট ছিলি তোর হাত ধরেছি
বলেছিলি - সময় হোক আমিও তোমার হাত ধরব বাবা ।
প্রথম স্কুলের দিন বলেছিলি - আমাকে ফেলে যেওনা ।
অনেক ঝড় বৃষ্টি রোদ্দুরেও আমি কথা রেখেছিলাম...
তারপর অনেক জল বয়ে গেছে এই গঙ্গার ।
তোর মা অভিমানে পথ চেয়ে চেয়ে, চলে গেছে বহুদূরে;
    যেখানে গেলে আর কেউ ফেরেনা ।
তোর মনে আছে আমরা দুজনে কৃষ্ণচূড়া গাছ বসিয়েছিলাম।
তোর'ই কথামতো গাছে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছিল ।
গত আয়লার ঝড় দৈত্যের মতো গাছটাকে উপরে ফেলেছে ;
তোর তৈরী ক্লাবে এবার থিমের দুর্গাপূজা হবে ।
বিশ্বাস কর, আমি খুব ভালো আছি। কিন্তু বড় একা লাগে ...
তোর কাছে হয়তো আমার আর যাওয়া হবে না ।
একি ! তোর চোখে জল ? কথা রাখতে পারিসনি তারজন্য ?
দূর পাগল দ্বিধা না করে আমাকে বাবা বলে জড়িয়ে ধর...
    বুকটা জুড়িয়ে যাবে । আমি তোর চোখ মুছিয়ে দেব ।
    আর কাঁদিস না । যেখানে যেমন আছিস ভালো থাকিস "
এবার মুঠোফোনটা বাজতেই ধরে ফেলি বলি - হ্যালো
ওপার থেকে ভেসে আসা কন্ঠস্বর শুনে
    আমার চিত্কার করে কাঁদতে ইচ্ছা হলো !
তারপর ! তারপর !  তারপর !