অনন্ত অপেক্ষা ভালবাসার মানুষের জন্য
বুক বুঁজে গেছে, জমে আছে আদি অহম বন্য ।
চেনা চিহ্ন, চটুল চোখে বাজিমাত চেনা চালে  
আনন্দী আননের আভাস আড়ালে আবডালে ।


অনন্ত অপেক্ষা সরোবরে ফুটে থাকে সরসী অনন্য
ভুলে ভ্রমরা পথভোলার যেন পথ খোঁজেনা অন্য ।
আয়না পারা জলে পদ্ম পাঁপড়ি ঝরে ঝরে পড়ে  
তবু তৃষিত আকন্ঠ আত্মা হিম শবনম আশা করে  ।


অনন্ত অপেক্ষা চন্দ্রমার চাঁদকে কাছে পেতে
কখনো কাছে কখনো দুরে নিরালা নির্জনেতে ।
যখনই তাকে দেখে তখনই হাত পাতে প্রতি বৃত্তে
ধুসর মেঘে হাড়কাঁপানো বিনিদ্র বিরহী রজনীতে ।


অনন্ত অপেক্ষা পলাশের  পিচঢালা রাস্তার পাশে
একদিন একজোড়া পাখী এসেছিল বাসার আশে ।
বিষের বিষে জর্জরিত প্রতিদিন তবু ইচ্ছা ফুল ফুটুক  
আশ্রয় নিয়েছে মানব মানবী বাদল বৃষ্টিতে বাঁচুক ।