বড় একা লাগে
কাউকে ডেকে বলতে পারছিনা
হাতটা ধরে জানালার কাছে নিয়ে যাবে ?
কতদিন জানালা দিয়ে রাস্তাটা দেখিনি
দুপায়ের হাঁটুতে অনন্ত সাথী অসহ্য যন্ত্রনা
কেউ আর কাছে এসে সেকথা শুনবেনা ।
অনেক কাল ধরে পরিচিত বিছানায় শুয়ে আছি
দিন রাতের সিংহভাগ ঘুমানোর ভান করছি
দুচোখে দৃশ্যমান সবকিছু  কেমন অস্পষ্ট
কর্ণকুহরে চেনা অচেনা শব্দগুলো আসে
কিন্ত মগজে সেই তরঙ্গের কোনো প্রভাব নেই ।


বড় একা লাগে
চেনা মুখগুলো একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে
ওরা তো সব আমার একান্ত-আপন জন ।
সময়ের তাড়নায় ছুটছে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে
গুটিপোকা থেকে প্রজাপতি হয়ে উড়ে যাচ্ছে  
অতীতের খোলসটা খুলে ফেলে যাচ্ছে ।
একটার পর আর একটা জমে পাহাড়
খোলস গুলো একা একা আগলে চলেছি ।
জানিনা আর কতদিন বইতে পারব ?


বড় একা লাগে
চকিতে খোলস থেকে বেড়িয়ে পড়ে,
রাজপথে রাজার বৃদ্ধ হাতি রাজকুমারী
সে নাকি কিছুদিন ধরে বদ্ধ পাগল !
মাহুতের অঙ্কুশে রক্তাক্ত কারো কথাই শুনছেনা ।
ক্রমশ পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে আর আসছে...
চখের দেয়ালেতে পিঠ রেখে আর্ত চিত্কার করি ।
বাঁচাও... বাঁচাও... বাঁচাও... বাঁচাও...
ছোট্ট শরীর শুঁড়ে পাকিয়ে শুন্যে তুলে আছাড়,
রক্তে দলা পাকানো শরীর পায়ে পিষে চলে গেল ।


এখনো আমি একলাই পড়ে আছি ।