আমি মালবিকা ।
স্কুল থেকে গড়িয়াহাটের মোড়ে,
নামকরা শাড়ির দোকানে ঋতুরাজের অপেক্ষাতে।
শোকেসের শাড়িটা চেনা লাগছে,
মায়ের এমনি একটা সুন্দর শাড়ি ছিল ।
মা বলেছিল - বিয়েতে শাড়িটা পড়িস ।


হটাত বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেল,
বাবার কলিগরা খুবই ভাল,
তাই স্কুলের চাকরিটা পেলাম ।
তখন সদ্য বি.এ পাশ করেছি,
ইচ্ছা ছিল ইতিহাসে এম.এ করি ।
মা শোক সামলাতে না পেরে মানসিক রোগী ।
ছোট ভাই রাজা বোন তিতলী মা আর
এই পুরো সংসারটা, আমার দিকে চেয়ে ।
স্বার্থপরের মত ঋতুরাজকে বিয়ে করা হবেনা ।
দমকা ঝড়ে ভালবাসা বুঝি পথ হারালো ।
একদিন মা’ও ঘরে ফিরলোনা ।
পুলিশে ডায়েরি কোন কাজেই দিলনা ।


সম্বিত ফিরতেই সামনে ঋতুরাজ,
একটা নতুন শাড়ির বাক্স হাতে দিল ।
দেখলাম শোকেসের সেই পছন্দের শাড়িটা নেই,
হেসে ফেললাম ও হাসলো ।
সামনের রাস্তায় বাসে চাপা পড়তে পড়তে বেঁচে গেল,
এক অর্ধ-উলংগ নারী ।
তাড়াতাড়ি শাড়ির প্যাকেটটা খুলে,
শাড়ি দিয়ে মহিলাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বললাম
- মা তুমি কোথায় চলে গেছিলে, আমাদের ছেড়ে ?
ভিড় ঠেলে ঋতুরাজ কাছে এসে বলে
–আমিও তোমাদের পাশেই আছি ।