ঝুমকিকে দেখতে আসছে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত ।
কিছু একটা হচ্ছে  রুমকির জন্য সামান্য সাবধানতা ।
বিকেলে বন্ধুর সাথে অভিজিত এলো ।
সরকারী চাকরি শহরে নিজের বাড়ি আর কি চায় ।
কিন্তু সর্বজয়া আনমনা চাঁপা রঙের শাড়িটা,
তন্নতন্ন করে খুঁজেও পেলোনা ।
বাধ্য হয়ে ঝুমকি অন্য রঙের একটা শাড়ি পড়ল ।

চা পর্বের শেষে অভিজিতের বন্ধু চন্দন
সরাসরি ঝুমকির মাকে বলে –
আমাদের একটা আবদার আছে, শুনতে হবে ;                
বাড়ির ছাদে অপেক্ষারতা চাঁপা রঙের শাড়ি পড়ে,
সে বুঝি আপনারই মেয়ে । ওকেই আমাদের পছন্দ ।
সর্বজয়া বলে - সত্যি আমার দুই মেয়ে রুমকি
আর ঝুমকি । যাকে ছাদে দেখেছ বড় মেয়ে রুমকি ।
দেখতে শুনতে ভালোই তবে সমস্যা আছে ;
চোখ মুছে বলে – ওযে বোবা, কথা বলতে পারেনা,
তবে নিজের মেয়ে বলে বলছিনা
মেয়ে আমার খুবই ভালো ; যদি ... ।


কথা শেষ হয়না চন্দন বলে - মাসিমা আর যদিনা...
আমরা এক অফিসের কলিগ,
অভিজিত ঝুমকিকে আমি চাঁপা শাড়ির রুমকিকে
বিয়ে করতে চাই । অসুবিধা নেইত?
সর্বজয়া অবাক!
তার এক চোখে কান্না আর এক চোখে হাসি ।


(গল্প বলার জন্য এইভাবে উপস্থাপনা)