ছোটবেলায় আমার ছেলেটা প্রশ্ন করেছিল আমাকে,
পিছনে হাত রাখা দীর্ঘদেহী পায়চারী করা ছবিটা কে?


ছবির দুর্নিবার আকর্ষণ, কি যেন বলতে চায় দিনযামী,
চোখে তার এমন অন্তর্দৃষ্টি যেন তিনিই সেই অন্তর্যামী ।
পাঠ করে নিচ্ছে ... শৈশব জীবনের যত সহজপাঠ;
ছড়ানো ছেটানো যত কৌতূহল,কৈশোরের মাঠ ঘাট ;
যৌবনের প্রথম বৃষ্টির ধারাপাতে শিহরিত সিনান ;
বসন্তদিনে আন্দোলিত মাধবীলতার সকল গুঞ্জন;
রৌদ্রদিনে ঘর্মাক্ত কলেবরে প্রত্যক্ষ প্রকৃতির দীন দান;
কোকিলের কুহূতে ময়ূরের কেকাতে পাও কত সুর তান;
আষাঢ়ে মেঘের ঘনঘটায় তুমি কৃষ্ণকলি গেয়ে ওঠো;  
বাঊলের একতারাতে মন বাঊল করে আলপথে হাঁটো;
মৃত্যু তোমাকে বারবার দেখিয়েছে চরম সর্বনাশা ভয় ;
ততবার হেলায় তর্জনীতে বলেছ- ভয়কে করেছি জয় ;


চমকে উঠি ছেলেটা এখনো বলে চলেছে উনি কে?
আমি ও আমার বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি কে?
শব্দ নির্মাণে উনিই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শব্দের কারিগর !
আজ উনার জন্মদিন, উনিই সব হৃদয়ে প্রানের ঠাকুর ।