অনেক দিনের শুন্যতায় পূর্ণতা দিতে
তুলি হাতে তুলে নিয়েছিলে ।
আশাহত হইনি কখন তবু মাঝে মাঝে
অভিমান করে ফেলি খেলাচ্ছলে ।
ইতরজন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানান ইঙ্গিতে
তোমার আমার তিনভুবনের কথা বলে।
ঈশানকোনে ঘূর্ণি ঝড় অপেক্ষা করে
আলো অন্ধকারে দুহাত শূন্যে তুলে।
উপোষী উনুনের ক্ষিদে সর্বনাশী বিশ্বগ্রাসী
দাউ দাউ করে শুধু খেয়ে যায় ।
ঊষার খবর এনে দেবে কথা দিয়েছিল
পূর্বদিগন্ত এখন লুকিয়ে বেড়ায় ।
ঋদ্ধ হয়েছি ক্রমশ তপ্ত বালুর মরুঝড়ে
সবুজের স্বপ্ন দেখি বন্ধ্যা বালুকায়।
লিখিনি এখন সেই নতুন দিনের উপন্যাস
সব জমিয়ে রেখেছি হৃদয় রক্তধারায়।
এখন যে অন্তর জুড়ে দ্রোহের আনাগোনা
এখানে ওখানে ষড়যন্ত্র জল্পনা কল্পনা।
ঐখানে আছে বাবার কবর তার পাশেতে মায়ের
সকাল সন্ধ্যে ঝরে পড়ে আদুরী হাস্নুহানা।
কারা চুরি করে নিল সুখ, মুখোশে ঢেকে মুখ
মানুষের বেশে ওরা ক্ষুধার্ত হায়েনা।
ঔপনিবেশিক সব সাবধান, একদিন ঘুম ভাঙবে
সেদিন আর পালাবার পথ পাবেনা।