আমি তৃষিত তুমি তৃষ্ণা মেটালেনা কেন তৃষা ।
আমি অভুক্ত জেনেও ঠায় দাঁড়িয়েছিলে
দক্ষিনের জানলা খুলে।
তোমার চোখের পলক পড়ছিলনা
কি দেখছিলে! অমন স্থবিরের মতন!
পাতা ঝরার গান নাকি পলাশের ডাক শুনছিলে ।
আমায় ডাকতে পারতে নিতান্ত ইশারায়
একটুও দ্বিধা না করেই চলে যেতাম
তোমার হৃদমাঝারের মাঝখানে
যেমন থাকে কোরকের অভ্যন্তরে পত্রমুকুল।


ভেবেছিলাম একবার পিছু ফিরে দেখবে
নিতান্ত অবহেলা হলে ও একবার...
না, অনন্ত অপেক্ষার শেষে হয়তো চন্দ্রোদয় হয়।
হয়তো সাগরের জল হয়ে যায় সুমিষ্ট
সবই পাল্টে যেতে পারে শুধু তুমি ছাড়া।
সেই একি রকম শ্রাবন-ধারার চোখে চেয়ে আছো
অসীম সুদুর ওই বনপ্রান্ত ছাড়িয়ে অনন্ত দিকচক্রবালে ।
তুমি ও  কি অপেক্ষা করো অন্য কারো জন্যে;
আমি চাই একান্তই চাইছি।
তোমার অপেক্ষার অবসান হোক ।
সবকিছু নিয়মের বন্ধন ছিঁড়ে সে আসুক
নিয়ে যাক অসীম শুন্যে ...
এই কাঁচের ফ্রেমে তোমায় মানায় না তৃষা ।
যাও যাও দূরে চলে যাও একেবারে স্মৃতির ওপারে।