তোর শৈশব নাকি বৃষ্টি জলে ভেসে গেছে
        কাগজের সেই নৌকার সাথে সাথে ?
নৌকারা আর ফিরে আসেনি ফিরে আসেনি শৈশব ।


প্রথম বৃষ্টি পড়লেই তোর বৃষ্টি ভেজা মুখ ভাসে
         ঝাঁকরা চুলে হীরক কুচির মতন জল টোপর !
কি মনে করে দিস ছুট, ছপাত ছপাত শব্দে জলনূপুর ।


হাতে একরাশ লাল নীল কাগজ গুলো
         এক একটা হয়ে যেত মযুরপঙ্খী নাও !
বিদ্যুত ঝলসে যাওয়া মুখে, নৌকা ছাড়িস বৃষ্টি জলে ।


যা নৌকা যা ... সাতসমুদ্দুরে পারে যা ...
          সেথায় আছে অচিনপুরের রাজকন্যে  !
রাক্ষসদের লোপাট করে আনবি তাকে অনির জন্যে ।


এক পশলা বৃষ্টি তখন ঘটায় অনাসৃষ্টি
          ডুবিয়ে দেয় সোনারতরী ছন্দপতন ঘটে !
গোমড়া মুখে মেঘ জমে তখন তোর চোখেতে বৃষ্টি ।


যখন তখন আমার যাওয়া আসা
          ইচ্ছা করে হাঁসের মতন শৈশবে মুখ রাখি !
তুই যে তোর ইচ্ছাতেই অচিনপুরে বন্দী হতে গেলি ।