কতবার আমাদের খুঁচিয়ে মেরে সাধ মেটাবে
আমরাও তো হাতে পায়ে চোখে মুখে মানুষ
স্বাধীনসত্তা নিয়ে আমরা কেন বাঁচতে পারিনা ?


বারবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকো
মাথা তুলতেই  দেখাও রক্তবর্ণ অক্ষিগোলক
তৎক্ষণাৎ ধারালো অস্ত্র তৃষ্ণা মেটায় তাজা রক্তে।


উচ্চবর্ণের নীল রক্ত বয়ছে নাকি শিরায় শিরায় ?
শিক্ষা দীক্ষা সংস্কৃতিতে অবস্থান করো উচ্চাসনে?
তবে কেন উঁচু নিচুর ভেদাভেদে আমরা পিছু হটতে থাকি।


এইতো সেদিন কুয়োর জলে বিষ মেশালে
মেয়েটা মেধায় এগিয়ে, তাতেই দোষ দেখলে
ফুলের মতন নরম শরীর খুবলে খেলো নরপিশাচ ।


ছেলেটার কিশলয় চোখে মেয়েটা জ্যোৎস্না পরী
মেয়েটাও বুঝলনা অসমপ্রেমে দোষ হবে কেন ?
জানাজানি হতেই ছেলেটা গায়েব, লাশ ভাসল খালে।


আমাদের চিৎকারে গাছের পাতারা দোলেনা
পাথর চোখে আগুন ঝরে আর কান্না ঝরেনা
ঘৃণার দৃষ্টিতে প্রতিদিন হয়ে উঠি একটা জীবন্ত শব!


এবার আর ভাগ্যের দোহায় দিয়ে ফিরবনা
সামনা সামনি রুখে দাঁড়াব সম্মুখ সমরে
প্রতিবাদী ঝড় হয়ে উঠবার , সময় এসেছে আবার।