বিশ্বাস করতে পারেন, নাও করতে পারেন ।
চিত্রক একান্ত আপন হয়ে ছবি আঁকছিল ;
রাজপথের দেওয়ালে কাঠকয়লা দিয়ে ।
রঞ্জিনী একমনে দেখছিল সেই আঁকিবুঁকি
একটা সাদা পাখী পায়ে তার পায়ে শিকল
ছবি যখন শেষ পাখি তখন পাখা দোলায়
শিকল ছিঁড়ে উড়ে যায় দুর আকাশনীলিমায়।
রঞ্জিনী আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠে
চিত্রকের চোখে জল চিত্কার করে প্রাণ প্রাণ...
পুতুল নাটকের দুটি চরিত্র চিত্রক আর রঞ্জিনী ।


সেদিন মুগ্ধতায় চোখেও জল এসেছিল ।


শেষের দিকে অত্যাচারী রাজার হুকুমে
চিত্রক ছবি আঁকতে বাধ্য হয় । জীবন্ত ড্রাগন
মুখে তার হিংসার আগুন দাউদাউ দাবানল
রাজার আশঙ্কা এই বুঝি
নিজের দোষে নিজের প্রানটা খোয়ায় ।
তারপর... যা হবার তাই হলো
সবটা এক্কেবারে আমার মনের মতন ।


নিজেকে বাইরে না রেখে হলাম কুশীলব ।


ওদের সাথে যাদের পা নেই পেট নেই ।
খিদে নেই শরীরে প্রানের ছিটেফোঁটা নেই ।
আলো সঙ্গীত সময় আর কুশীলবের স্পর্শে
ওরায় হয়ে ওঠে জীবন্ত একেকটা চরিত্র ।
দর্শককুল হাসে কাঁদে অভিভূত হয়ে পড়ে।
এই পাওয়া কি কম পাওয়া! আর কি চাই ।