তোমার ছবি আঁকা শেষ হলো...
জানো, এখন কত রাত হয়েছে !
আঁকতে বসলে সময় জ্ঞান থাকেনা ।
একের পর আঁকতেই থাক । দেখি কি এঁকেছ ।


ওমা, এ আবার কেমনধারা ছবি
হাতেটানা রিক্সার ছায়াতে রিক্সাওয়ালা ঘুমায় ।
আকাশের রং ঘন নীল, রাস্তা এক্কেবারে শুনশান।
হ্যন্গ্লার মতন কালো কাকটা কলের দিকে চেয়ে ।


খ্যাপা ষাঁড়ের মতন আকাশ কালো করে মেঘ;
চোখবিহীন আলগা শাড়িতে মেয়েটা আকাশ দেখছে  ।
কি দেখে ? উড়ন্ত একা চিল,  নাকি উড়োজাহাজ !
এটা কি ? বটের পাতায় যেন প্রথম জলের ফোঁটা ।


ওগুলো পদ্মকুঁড়ি, এখুনি মনে হয় ফুটবে ফুটবে;
আটচালাতে বাঁশ খড় মাটি দিয়ে কাঠামোর আভাস।
অপু দুর্গার মতন হাভাতে ছেলেটা মেয়েটা কি দেখছে  ।
ভাল্ল্লাগেনা আদিখ্যেতা দেখে আর বাঁচিনা ।


এ কেমন ছবি এঁকেছ ? মা দুগ্গার মুখ জলে ভাসছে
নদীর ওপারে আকাশটা লাল করে সূর্য ডুবছে ।
ছবিতে ফুটো ঢাকটা বড্ড বেশি বেমানান ।
ঘাট থেকে গুরুদশায় উঠে আসছে বাচ্ছাটা! কেন ?


ধোঁয়া ধোঁয়া রঙের সারাটা ছবি কুয়াশা না ধোঁয়াশা ?
আবছা বোঝা যায় পরী বিহীন ভিক্টোরিয়া, তাইনা !
বাস্প ওঠা লালচে ভাঁড়ে চুমুক, ওটা কি তুমি ?
চোখে জ্বালা শুকনো পাতার সাথে টায়ার পুড়ছে ।


ইনি আবার কে ? নির্লজ্জ, শরীরে কাপড় নেই কেন ?
মাথার উপরে লাল কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ি ঝরে শরীরে ;
এলো খোঁপায় কি ফুল! ওটা কি লাল পারিজাত ?
কালো মেয়েটাকে সুন্দর করে না সাজালেও পারতে।


এবার চলো ; দেখো রাত আর বাকি নেই ।
নাহ!  তুমি যাও ;আজ এদের সাথেই রাত জাগব ।