হটাত মনীষদা চিৎকার করে উঠল
কি হচ্ছে! কি হচ্ছে! এটা কি ছেলেখেলা হচ্ছে!
এটা একটা রিহার্সাল রুম...ভাল না লাগলে
এই যে মণি হ্যাঁ তোমাকে বলছি...


মণিকাঞ্চনা শুনতে পায়না ... সে যেন অনেকদূরে
ছেলেটা একলা ঘরে আজ ওর বাবা থাকবেনা।
ঘড়িতে এখন নটা বেজে গেছে ।
ভীষণ জ্বর আর কাশি সাথে হাঁপানি দেখে এসেছে।
না জানি রুগ্ন ছেলেটা কি করছে ...
চিৎকার কানে যেতে মণিকাঞ্চনার সম্বিত ফেরে।


নাহ... মনীষদা একটু অন্যমনস্ক ছিলাম
আসলে বাড়িতে নাহ একলা ছে...
কথা থামিয়ে মনীষ বলে যাও বাড়ি যাও
টি ভি তে চান্সের জন্য শখের থিয়েটারে আসা;
কিছু বুঝি না ভেবেছ, সব জানি সব জানি ।
পরশু আমাদের থিয়েটার মঞ্চস্থ হবে না।


তেজস্বিনীর মতন মণি বলে ওঠে
আমার জন্য থিয়েটার মঞ্চস্থ হবে না!
হতেই পারে না, আপনি শুরু করুন ;
আর এমনটা কোনদিন হবে না মনীষদা ।
সেদিনের ফাইনাল রিহার্সাল মধ্যরাত পর্যন্ত।


মনীষদার ফোন বেজে উঠতেই, আবার কে?
'' হ্যালো''  কে মণি? ও রিহার্সালে আছে,
না দেওয়া যাবেনা, বললাম তো না...
অপরপ্রান্ত থেকে কাতর কণ্ঠে  কেউ বলে  
আমি ওর স্বামী রতন, মণির ফোন বন্ধ ছিল।
আমার ছেলেটা এইমাত্র মারা গেল জানিয়ে দেবেন।
ও শুধু একবার কথা বলতে চেয়েছিল মায়ের সাথে।


হাতের ফোনটা মাটিতে পড়ে টুকরো হয়ে যায়।
মণিকাঞ্চনার স্বতঃস্ফূর্ত সংলাপ সেই শব্দে
ঝড়ে নিভে যাওয়া প্রদীপের মতন
        দপ করে নিভে গেল।