এইমাত্র সূর্য বাদামগাছের চুড়ায় সোনারকাঠি ছোঁয়ায়
সবুজ শিখরে শোভে স্বর্ণমুকুট। হৃদয় জুড়িয়ে যায়;
  ষরজের সুরে সুরে বাতাস মৃদুমন্দ বয়ে যায়।
তার ঠিক পরে নারকেল গাছে রোদ্দুর ধরা দেয়
সারারাত বৃষ্টিভেজা জলের কণা চোখ ধাধিয়ে যায়
   ঋষভের সুরে চেরাপাতারা ভৈরবী গান গায়।
আজ বাদামগাছের চিলশাবক ধরেছে মস্ত বায়না
মা যেন তার কিছুতেই খাবার সন্ধানে যায়না;
   গান্ধারে তাই একনাগাড়ে গুনগুনিয়ে যায়।
তখনো বকুল গাছের আনাচে কানাচে আঁধার লেগে
অকরুণ বকুল সুবাস ছড়িয়ে নেশাতুর করে রাখে;
   কড়িমধ্যম সুরেতে দেখি বুকুলেরা ঝরে যায়।
আজ বসন্ত প্রতি ডালে ডালে কৃষ্ণচূড়া জানান দেয়
শাবক দেখে খুশি থাকে। কাকজননী পরম মমতায়;
   পঞ্চমে কুহু এক শাবকের অঘটন ঘটে যায়।
মুখোশ পড়া একটা সকাল রেশন দোকানে ঠায়
অবুঝ ভীষণ লম্বা লাইন। পেটের খিদে তাই জানায়;
   ধৈবতে নারী কয় নরে,এখন তফাতে থাকতে হয়।
পরিযায়ী যারা ফিরেছে ঘরে, অনাহার তাই পিছু কি ছাড়ে?
পেশা হারিয়ে পসরা সাজিয়ে, হাঁক দিয়ে যায় দোরে দোরে
   নিষাদ স্বর কঠিন কঠোর,দুবেলা অন্ন জোটান কি দায়?  


***কাল হারিয়ে যাওয়া কবিতা পেয়েছি কিছুটা খুঁজে ।