তাঁর দৃষ্টিতেই ছিল
হরিণের মতন চকিতে সব বুঝে নেওয়া।
এক্সরের মেশিনের যেমন অন্তর্ভেদী তীক্ষ্ণতা।
আমার তখন ছটফট করছে হৃদয়পুর।
আমার আঠেরো ওর হয়তো তখন মিষ্টি ষোল;
চোখে চোখে একটা বিপ্লব ঘটে গেল।
বুকের ভেতর সাত সাগরের বিপুল গর্জন
যদিও ফাগুন মাস তবু দেখি
বিনা মেঘে ঘন ঘন বজ্রপাত।


বাড়ির সবাই চলে গেল বেড়াতে
বলে গেল তোর ভীষণ জ্বর
কোণারক যাবই বড় হলে, পরে দেখিস।
আমি ও বেড়িয়ে পড়লাম জ্বর নিয়ে;
নীল সাগরের অশান্ত ঢেউ দেখব বলে।
সেখানেই দেখি আমার দাঁড়িয়ে আছে
আমার চকিতে হারানো সর্বনাশ।
নিমেষে আমার শরীরের জ্বর গায়েব।
কারোর মুখে কোন কথা নেই।


তবু কোন সে প্রাণের টানে একই দিকে চলা।
নরম বালির উপর পা রেখে রেখে সে চলে যায়।
আমিও চলে যাচ্ছি রেখে যাওয়া পদচিহ্ন ধরে।
নোনা বাতাসে ওর চুল উড়ছে,
একবার মনে হয়েছিল যদি বাতাস হতাম,
ওর চুল এমনি করে এলোমেলো দিতাম।


হটাত সে ককিয়ে উঠল নায়িকা...
পায়ে বোধহয় ঝিনুক ফুটে গেছে রক্ত ঝরছে।
জানিনা আমি নায়ক কিনা ছুটে গেলাম।
মিষ্টি গন্ধে কোথায় যেন হারিয়ে গেছি।
কতক্ষন জানিনা।
সে হাসিমুখে বলছে - অমন করে কি
কেউ ঝিনুক খুঁটে তোলে?
আমি বললাম ঠিক কেমন করে?
সে তখন মিষ্টি হাসি ছুঁড়ে চলে গেল।


রক্তমাখা ঝিনুক হয়তো কিছু বলতে পারে!
শোনা হলনা কিছুই।
সাগরের ঢেউ এসে ঝিনুকটাকেও নিয়ে গেল।