ঠিক ল্যাম্পপোস্টের নিচে ফুটপাথ রাস্তার ধারে,
জায়গা করে নিয়েছে সে সকলের অগোচরে।
নামগোত্রহীন চোখ মেলেছিল সেই চারা গাছটা ।
কেউ কেউ বলেছিল,জঞ্জাল দূর করে দাও ওটা ।
থাক থাক বলেছিল, চায়ের দোকানের ছেলেটা।
জানি,সুন্দর ফুল ফোটে বসন্তে কি যেন নামটা?
যত্নে অযত্নে ধূলো ধোঁয়া সহ্য করে সে বাঁচে ।
বছর বছর সে বাড়ে প্রতিবাদী চরিত্রের আঁচে ।


কে'বা কারা ঠেক বানাতে সে শানবাঁধানো বেদী পায়।
এক বসন্তে তার শরীরেও যৌবনের গান শোনা যায় ।
শীর্ণ শরীরের ডালপালার কোরকে আসে ফুলের ডাক
সরস্বতী'র দিন এসেছে, পলাশ ফুটেছে ঝাঁকে ঝাঁক ।
'কেউ ফুল তুলিবেন না' সাদা কালোয় লেখা বিজ্ঞাপন ;
অবশেষে ঘুঁচে গেল অনামী রক্ত পলাশের অভিমান।
তাকেও নিতে হবে বিদায়, ডাল পালা হয়েছে ছাঁটাই ।
শ্বেতপাথরে হবে দেবীর অবস্থান,নিরবে সে কেঁদে যায় ।