হারিয়ে যাচ্ছে চুরনি নদীর উরনি ঘূর্ণি ঢেউ
রামধনু আজ হৃদয় মাঝে রঙ তার ফ্যাকাশে।
হিমেল বাতাস সাথী হতো নিবিড় কুয়াশার
এখন যেন চোখ জ্বলে যায় দূষণ ধোঁয়াশায়।
ঝুমকোলতা ঘুমিয়ে গেছে না মেলতেই চোখ ।
বুড়িগঙ্গায় জল কই প্রাণ-প্রতিমা ভাসাই কোথায় ;
স্বর্ণচাঁপা আর দোদুল দোলায় দুলবেনা
গেল বছর সেও হয়েছে নিপাট উন্নয়নের বলি।
নামেই শুনি বিন্নিধানের খই নিপাত গেছে কবেই ?
ঢেঁকিই নেই তার আবার ঢেঁকি ছাঁটা চাল!
উঠান জুড়ে শীত সকালে রোদ্দুরে পিঠ রেখে
প্রতি দলায় লুকিয়ে থাকতো অমৃত একরাশ।
চোখ গেল চোখ গেল পাখিটা আরতো ডাকে না?
দুষ্টু পাখি মিষ্টি সুরে বলতো যেই 'খোকা হোক ।'
লজ্জায় মুখ লাল করে মুখ লুকাতো নতুন বউ ।
নদীতে জল নেই ভাসানে বাঁইচ খেলাও নেই ।
লক্ষ্মী পুজোর ভূজো চাওয়া আর বুঝি হয়না!
জ্যোৎস্না মেখে নষ্টচন্দ্রের নষ্টামি সবাই গেছে ভুলে;
মন বোঝো সারকথা সেদিনের সেই নাড়ুর দিন
আর কখনো নতুন করে ফিরে আসবেনা ।