মাতৃভূমি তেহট্ট,পাড়ি দিলাম শহর ছেড়ে গ্রামেতে,
বাবার কথায় এবার আমরা সবাই দেশের বাড়িতে ।
পালবাড়ির দূর্গাবাড়ির পূজা ঢাকের কাঠিতে বোধন
উষায় লালপাড় শাড়িতে কলাবউ-এর নদীতে স্নান ।
পালকওয়ালা ঢাক আর কাঁসরের নব তালে তালে
আমপাতা আল্পনা আর সোলার তৈরী কদম ফুলে ।
ডাকের সাজে দূর্গা'মা অনুপম রাজেশ্বরী রুপেতে!
একটু অন্যরকম ঘোড়ার মতন সিংহটাকে দেখতে ।
মন্ডপে প্রদীপ জ্বলতে দেবীর চোখে পলক নড়লো,
তখনি চারিদিক কেমন আলোকময় হয়ে উঠলো ।
শহর ছেড়ে যাবার কষ্টে কে যেন হাত বুলিয়ে দেয়;
নিমেষে মনস্তাপ সাদা কাশফুলেতে মাথা দোলায় ।
মা বাবার সাথে ঠাকুমা আমি ঠাকুর দেখে ফিরি ,
দেবীর আরতি দেখে ঠাকুমার চোখ গেল জলে ভরি !
আমার প্রশ্নে-চোখ মুছে একগাল হেসে ঠাকমা বলে
"কবে আছি কবে নেই বড় আনন্দ লাগে সবাই মিলে।"
হোমে ঘি পোড়া গন্ধ, কোথাও ছাতিম ফুল ফুটেছে;
শীত শীত ভাবে হাজ্যাক জ্বলা রাতটুকু জমে গেছে ।
মাঝখানে নদী খড়ি, এপারে বাংলা ওপারে বাংলা
দেখেছি বিচিত্র ভাসান লালপাড় শাড়ি সিন্দুর খেলা ।


আজ ঠাকমা নেই, হাজ্যাক জ্বলা রাত নেই, স্মৃতিতে বাঁচো ।
কাঁসর ঘন্টা শব্দে, ছাতিম আর ঘি পোড়া গন্ধে জেগে আছ ।