ভেবেছিলাম শহর ছেড়ে চলে যাব
কি ভেবে আবার থামি, কেন যাব?
যদি অভিমান অনুরাগ আব্দার প্রেম ভালবাসা
আমার থাকতে পারে!
তবে, নিশ্চিত এই শহরেরও থাকতে পারে।
চিৎকার করে বলেছিলাম -তুমি কি আমাকে চাওনা…
তখনি শহীদ মিনার হেসে বলেছিল


-আমি তোমাকে পাখীর চোখের মতন শহরটাকে দেখিয়েছিলাম।
       তুমি সেদিন দুহাত তুলে বলেছিলে
        আমার ভীষণ ভাল লাগছে হে শহর।


একদিন রাতের অন্ধকারে তোমার উলঙ্গ জীবনের
কালিমা লুকাতে আমার স্নিগ্ধ গঙ্গায় ছিল অবগাহন।
তোমার প্রতিবাদের ভাষা সোচ্চারে বলবার জন্য বেছে নিয়েছিলে;
      আমার হৃদয়ের মাঝখান ময়দান।
একদিন রেড-রোডে ট্রাম রাস্তার ধারে ফোটা রক্তপলাশ
দেখে চমকে গিয়েছিলে, মনে আছে।
রেস কোর্সের গ্যালারিতে হেরে যাওয়া মুখ লুকাতে চেয়েছিলে
আমিই বলেছিলাম এসো ভিক্টোরিয়ার শান্ত বকুলতলে ।
যেদিন হৃদয় ভেঙে দু-টুকরো হোল
        হন্যে হয়ে আশ্রয় খুঁজছিলে ।
পায়ে পায়ে চলে এসেছিলে আউট্রাম ঘাটের নির্জনে। ভুলে গেলে...


ডানা মেলে দিয়েছি উত্তর থেকে দক্ষিনে
      পূর্ব থেকে পশ্চিমে।
নিজের বুক চিরে গড়তে বলেছি সুরঙ্গ,
এপথ দিয়ে নিত্যদিন যেও আর এসো যে যেখানে যাবার সত্বর।
এখানে এখনও আকাশ নীলে, এখনও চিল ডানা মেলে,
এখানে রবি নজরুলের নামে, গান গায় মালা গাঁথে
পথ চলতিতে থমকে দেখেছ পথনাটক...


শরত এলে কুমারটুলি হৈ চৈ চাঁদমালা
পৃথিবীর ভালো মন্দে এ শহর সবার আগে সাড়া দেয় ;
মিছিল বাড়ে তখন রাজপথ জুড়ে
আজানে সকাল বিকাল জাগে ঘুমায়।
                  তবু ও তুমি চলে যাবে?
            
               শেষ সিদ্ধান্ত নিলাম
       এই শহর ছেড়ে আর কোথাও যাবনা ।