এখানে আসতেই সম্পর্কের বন্ধনে বেঁধে ফেলেছিলে।
সিনেমাতে দেখা সেঞ্চুরি বুড়ো নাতি আর নাতবউ।
সেঞ্চুরিবুড়ো হোল বাঞ্ছা বুড়ো ।
সেই বাঞ্ছা বুড়োর উঠে দাঁড়ানো গল্পের মতন।
নিজের উপরে ছিল অগাধ আস্থা লাঠির উপর নয় ।
আমি বা আমরা ছিলাম সত্যিকারের ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী ।


আমরা তন্ময় হয়ে গল্প শুনতাম
এপার বাংলা... ওপার বাংলা...
পদ্মা মেঘনা গঙ্গার তীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে
কলকাতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।
পরাধীন বা স্বাধীন ভারত তোমার হাত ধরে ধরে
ছিল আমাদের অতীতের দিব্যদর্শন।
জিভে শিরদাঁড়ায় চোখে মুখে কি বলিষ্ঠ ভাব!
পরম শ্রদ্ধাতে মাথা এমনিতেই নত হয়ে যেত।
ধিরে ধিরে কেমন যেন বটবৃক্ষ হয়ে উঠেছিলে।
গায়ে মাথায় শরীরে অগুন্তি ছিল সম্পর্কের ঝুরি।
ছায়ায় মায়ায় এক্কেবারে একাকার করে রেখেছিলে।


অন্তর্যামীর মতন জরিপ করে নিতে মনের কথা ।
আমি বা আমরা ইচ্ছা করেই হার মানতাম।
মাঝে মাঝে হয়তো শরীরের যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতে
কথা বলতে ভীষণ রকমের কষ্ট হত।
তবু শুনতে চাইতে মানে শোনাতে হতো অন্যদের কথা ।
কে কেমন কোথায় কীভাবে আছে ?
বটবৃক্ষের অন্যান্য সাথীরা ভালো আছে তো?
নিজেকে বার বার তুমি বলতে 'যমের অরুচি '
আর হয়তো শুনবনা।
কারন যমের রুচি হয়েছে।
তিনি তোমায় সর্বান্তকরণে গ্রহন করেছেন।
এখন তুমি খুশী হয়েছতো । ভালো থেকো যেখানই থাকো ।