মনে প্রাণে যন্ত্রণা পেয়েছিল প্রতিবাদী ভাষা
তাই অন্ধকার ঠেলে সেইসব মানুষের উঠে আসা।
ঝরছিল রক্ত, থেমে যায়নি, তবু তাঁরা পথ চলছে
মনে প্রাণে বিশ্বাস, দুচোখের তারায় ছিল আলো-আশা।


মজে যাওয়া নদী জানে
পেটের খিদে কিভাবে শরীর কুরে কুরে খায়।
শুধু শ্বেতকরবী ফোটাবার জন্য নীরব গাছের মতন
অব্যক্ত যন্ত্রণায় মানুষেরা ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়।


তারপর সেই সয়ে ক্ষয়ে যাওয়া শুখা খড়কুটোয়
একদিন আগুনের স্ফুলিঙ্গে দাবানল হয়ে যায়।
নিমেষে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন শিখা।
পুড়িয়ে ছারখার করে অহংকারীর মসনদ;


তারপর অপার শান্তির স্বাধীনতা এনে দেয়।
দমে যাওয়া ফুল কুঁড়ির মুখে ফোটে প্রাণের ভাষা
আশ্চর্য, মানুষগুলো আজো হাত বাড়িয়ে ডাক পাঠায়।
বুকের ভিতর ফুঁ দিয়ে তাজা নিঃশ্বাস ভরে দেয়।
বলে -যাও ছুটে যাও, প্রয়োজনে রুখে দাড়াও।
নিজের বাক অধিকার নিজেই ফিরিয়ে আনো।