আজ কেন জানি মনে হচ্ছে,
তুমি আমার খুব ধারে কাছেই আছো ;
হয়তো এখুনি বলে উঠবে খোকা...চশমাটা এনে দেনা
সকালের খবরের কাগজটা একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
মা তুমি যে কি করোনা, দেখনা আসে পাশেই আছে ।
প্রতিদিন অফিস যাবার সময় এই বায়নাটা করো কেন?
         ঘর থেকে বেরোতে যাব কে যেন হাঁচি দিল ...
মা বলে ওঠে- যাসনা খোকা, একটু বসে যা তোর ভাল হবে !
ইচ্ছা করে চলে গেলাম রাতেরবেলা ঘরে ফিরে বলি কই !
এই দেখো মা তোমার ছেলে দিব্যি বেঁচে বর্তে আছে ।
মা বলতো কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে যাস খোকা ।
শুনিনি সেকথা, বাড়ি ফিরে বলি দেখো মা আজো কিচ্ছু হলনা ।
আরো বলেছিল নিশীথ রাতে কুকুর যখন একসাথে কাঁদে ;
তখন বুঝবি খোকা আপনজনের ক্ষতি নিশ্চিত হবেই হবে ।
আর মানুষকে কেউ ছুঁয়ে থাকলে তার কখনো মৃত্যু হয়না।
      যমরাজা তাকে নিয়ে যেতে পারেনা তার
মৃত্যুলোকে।
হেসে বলি বিজ্ঞানের যুগে তুমি এইসব বিশ্বাস করো  মা !
মা বললো নারে না দেখবি এর ভিতরেও কিছু সত্যি আছে ।


সেদিন রাতে তোমার খুব বাড়াবাড়ি দীর্ঘদিন রোগে ভূগছো।
ভোররাতে ঘুম ভেঙে গেল। একদল কুকুরের তীব্র কান্নায় ;
বুকটা কেমন যেন কেঁপে উঠলো, তোমার কাছে গেলাম ;
দেখি তুমি মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছ, কিচ্ছু করার নেই ;
        দৃষ্টিহীন দুচোখ দিয়ে শুধু জল গড়িয়ে যাচ্ছে ;
এইতো মা তোমাকে ছুঁয়ে আছি তোমার কোন ভয় নেই ;
মৃত্যু তোমাকে ছুঁতেই পারবেনা কোনমতে, আমিতো আছি ।
হাতটা চেপে ধরে কি যেন বলতে গিয়ে আর বলা হলোনা ।
       মনে পড়ল মার কথা সংস্কারের সবটাই কি কুসংস্কার ?