ভোর সকালে আকাশ জুড়ে দেখি বুনোহাঁসের উড়াল।
খসে যাওয়া পালকে যেন কি গন্ধ লেগে ছিল?
মনে পড়ে গেল ওটা স্বাধীনতার গন্ধ।
সাতসকালে বাগানের বাদাম গাছে এক কাঠঠোকরা।
আপনমনে শব্দ করে ছন্দে ছন্দে খাবার খুঁটে নেয়।
ওই শব্দেই বুঝি ছিল স্বাধীনতার মানে।
একটু আগের বৃষ্টি ভেজা ঘাসে চলছে ফিরে গঙ্গাফড়িং।
সবুজ ঘাসে জলের ফোঁটা সে মাখছে কিসের সুখে;
ওটাই বুঝি স্বাধীনতার অপার আনন্দ।
সন্তর্পণে শিকার তরে এগিয়ে চলে গিরগিটি এক বন্য।
শঙ্খচিলের শিকার হয়েছে বুঝে, রঙ পাল্টায় নিজের।
এই আত্মরক্ষা কি স্বাধীনতার রঙ।
দূর শহরে কাজেতে যায় ঝুপড়ীর এক দিনমজুর
কপালেতে হাত রেখে বউটা হাসে - যাই বলতে নেই।
এই হাসিতে কি লুকিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ।
যখন সঙ্কট সাড়াদেশ জুড়ে, কেন যে তিনি অমায়িক সুরে
প্রতিশ্রুতির বেদ বোধনের মন্ত্রে, কি সুখ আনতে চায়।
এমন বন্ধ্যা প্রতিশ্রুতি কি স্বাধীনতার অঙ্গ?
দুয়ারে দাঁড়ায়ে মা আর ছেলে ছলছল চোখে বলে
ভিক্ষা নয় কাজ করে দেব ঘরের দুটি খাবার বিনিময়ে।
এমন চোখের জল কি স্বাধীনতার প্রাপ্য।
পতপত করে বাতাসে ওড়ে কেল্লার বুকে তিরঙ্গা
আকাশেতে ওড়ে বিমান, শুনি আবার প্রতিশ্রুতির বান।
এইতো বেশ, চকলেট বিরিয়ানিতে স্বাধীনতা সমাপন।