সেদিনের চেনা খড়িনদী অচেনা হয়ে যায়;
পথের বাঁকে সে নদীর মুখও বিষণ্ণ লাগল ।
বাম হাতের আঙুলগুলো কালো রঙ মাখে,
সাবান গোলা জলে ধুয়েও রঙ রয়ে গেল।
নিজের ছবি নিজের কাছেই কেমন অচেনা,
কপালের ঘাম দস্তখত কাগজে ঝরে পড়ল।


অত মানুষের ভিড়ে নিজেকে একা লাগে কেন?
একে একে নবরত্ন মানুষ এলো আর গেলো ;
এখানে ওখানে গুঞ্জনরত মানুষের গুপ্ত ষড়যন্ত্র,
বহিরঙ্গে যত অন্তরঙ্গতা, দোলাচল অন্তরে ছিল ।
এতদিনের পুরনো আশ্রয় আজ থেকে পরাশ্রয়;
অন্য কারোর ছায়া,আমার স্মৃতিতে জমবে ধুলো ।


কেউ শুধু শুধু মণিকাঞ্চন বার বার গুনে গেলো
কেউ হাতে পাতে যা পেল তাই কুড়িয়ে নিলো ;
সুযোগ বুঝে রঙ্গিন মাছরাঙা ছোঁ মেরে মাছ ধরে,
মৃতজনের আশীর্বাদ বুঝি পলাশীতে নেমে এলো?
পড়ন্ত রোদ্দুর সুধীর কুটীরে আঁধার নিয়ে আসে,
একলা রেখে তোমায় যে যার ঘরে ফিরে গেলো।


হটাত  বৈশাখী ঝড়ের সাথে মেঘের আনাগোনা
এতদিনের দুঃখ সুখের সাথী বৃষ্টিতে ভিজে গেল।