দুই বন্ধু পথের ধারে
থমকে হটাত দাড়িয়ে পড়ে,
তুই আমি যেই হাটছি পথে
সাথে পূর্নিমা চাঁদ যাচ্ছে সরে ?
অন্যে বলে দূর বোকা
ওটা হলো গ্যাসের বেলুন ,
দেখনা জোরে দিচ্ছি কসে
আমার ফুঁয়ে ফাটবে বেলুন ;
তোর কি শেষে নেশা হলো?
হায়রে বন্ধু পরান জ্বলেরে !
আমার গায়ে ভীষন তাপ
তুই ভুল বকছিস ভীষন জ্বরে ।
নারে বন্ধু একটুও তা নয়
এইতো আমি দিব্যি খাসা ।
তোর দুটো চোখ ঝাপসা দেখি
মোর পা'ও যেন হাওয়ায় ভাসা।
পরান বন্ধু বায়না ধরেছে
আগে পৌঁছে দেবে তার বাড়ি।
নিজের বাড়ি পুবদিকেতে
সে জানে পশ্চিমেতে সখার বাড়ি ;
অন্যে রেগে ঝাঁকিয়ে শরীর
তেমন মাতাল ভাবলি আমায় ।
দুইজনে প্রায় হাতাহাতি
কে কার বাড়ি যায় নিয়ে যায় !
একজন পথ হাঁটছে জোরে
হাত দুটো যেন আকাশ ধরে ।
দেননা দাদা একটুকু ঠিক করে
কে যাবে আগে কেইবা যাবে পরে ।
মস্ত ব্যস্ত সেজন বলে পারবনা
দেখছেননা হাতে ধরা পূর্নিমা চাঁদ ।
সাঝেরবেলা গিন্নি যে চান চাঁদির মালা
না পেলে মোর জীবনটা বরবাদ ।
দুই বন্ধুর এক্কেবারে চক্ষু ছানাবড়া
হেসেই পথে এ ওর ঘাড়ে পড়ে।
বলে দেখিনিতো আমার বাপের কালে
এমন মাতাল সারাটি দেশ জুড়ে।