তোমার পুরোনো ঠিকানায় লিখছি
প্রথম এবং শেষবারের মতো চিঠি ।
তুমি আর আমি মুখোমুখি দুজনা
শেষ বিকেলের রোদ্দুর তোমার মুখে
পিছনে আকাশ ছোঁয়া দুঃসাহসী মিনার ।
নীল আকাশে তখনও উড়ন্ত দুটি চিল
তোমার কমলা ঠোঁট কিছু যেন বলছে
প্রথম কয়েকটা শব্দ শোনার পরে
বাকি শব্দগুলো নিস্তব্ধ হয়ে গেলো ।
এক লহমায় টিভির রিমোটে যেমন শব্দস্তব্ধ
ঠোটের ওঠাপড়ায় দেখি নির্বাক বায়স্কোপ ।
তারপর... তারপর...তারপর...
ফেরিওয়ালা ডাকে - দিদিমনি কখন চলে গেছে ;
তখন সন্ধ্যা নেমেছে একফালি চাঁদ আকাশে
বহুতল ঝাড়বাতীর আলো চুইয়ে পড়ছে শহরে
ঝিঝির করুন সানাই শুনি এই জলসাঘরে একা
আমার ও যে অনেক কিছু বলার ছিল পারমিতা
বন্দরে জাহাজ না হোক অনায়াসে নৌকা ভিড়তো।
সরকারী নয় বেসরকারিতেই দুজনার ছোট্ট সংসার।
আজ সেই প্রাপ্তির কথা তোমায় বলার ছিল মিতা
ভেঙে যাওয়া প্রতি কাঁচের টুকরোয় তোমার মুখ
ঠিকানা হয়তো পাল্টে যাবে দেশে কিংবা বিদেশে
কোন রাজপুত্রের জাদু ছোঁয়াতে তুমি এখন রানী,
আমি দেশ কাল সীমানা না মানা উদাসী একা চিল ।