আমি তোকে অনুমতি দিতে পারিনা
তোর বাবাও ফেরেনি, তুইও যাবি !
না বাবা যাসনা, আমি বাঁচি কি করে ?
তোকে ঘিরেই আমার যতসব স্বপ্ন ;
না’মা একটু বোঝ, দেশমাতার ডাক।
বাবাকে দেখেছি যে পোশাকে সেটা
আমার কাছে বিশাল গর্বের বিষয় ।
ওই পোশাকটা আমিও পড়তে চাই!
একটার পর একটা বাধা ডিঙিয়ে
পেয়ে গেছি কাঙ্খিত সেই নিয়োগপত্র;
তোমার না'বলা আমাকে বোবা বানাবে।
কারোর চোখের দিকে চাইতে পারবনা!
আঁচলে চোখ মুছে মা উঠে দৃঢ়তায় বলে
যাও বাবা যাও দেশের সম্মান বাচাও;
মুন্নী বাগদতৎা ওকে চোখে চোখে রেখো
আমি ফিরে আসি ওকেই বিয়ে করব!
মা হাসে জানি বাবু ওইতো ভাবীবউ
মুন্নী লজ্জায় ছলছল চোখে দৌড়ে পালায়;
    **********
সীমান্ত থেকে বলছি, মা শিগগির আসছি,
মুন্নীকে বোলো ও যেন খুব সাবধানে থাকে।
ওর কাছে রেখে এসেছি আমার ভালবাসা
মাঙ্গলিক কাজ যা করার দ্রুত ব্যবস্থা কোরো ।
    *******
নিস্তব্ধ গ্রামে রাজসিক আয়োজনে কফিন আসে
মায়ের চোখ যেন বোবাকান্নায় অব্যক্ত হয়;
ওদের ভিতর কেউ মুন্নীকে খুঁজতে থাকে,
মা মুন্নীকে নিয়ে বজ্রকঠিনে উঠে দাঁড়ায়
জনতাকে সাক্ষী রেখে ঋজুতায় প্রস্তাব দেয়,
অন্তস্বত্বা মুন্নীর গর্ভে বাবু উপহার রেখে গেছে;
আপনারা অনুমতি দিলেই ওকে গ্রহণ করি ।
সোচ্চারে জনতার সম্মতিতে মা মুন্নী কেঁদে ওঠে ...