অচেনা শহর পাহাড় জল জঙ্গলময়
শীত শেষ সকালের রোদ্দুর গায়ে নিয়ে হাঁটছি;
কেন জানিনা । জানতেও ইচ্ছে করছেনা ।
হয়তো অজানা কী এক টান অনুভব করছি ।
ছোট টিলা পাথুরে রাস্তায় পড়ে থাকা পাইনফল
হঠাত রাস্তা শেষ । দেখি রুপালি ছোট্ট জলধারা।
মিষ্টি নুপুরের মৃদু শব্দ বলছে '' চলে এসো ।
হাঁটতে থাকো আমার সাথে সাথে বহুদূরে ।
চড়াই উতরাই কতক্ষন চলেছি মনে পড়েনা ।
     কি কারণে যেন চকিতে পায়ে শিকড় গজালো ।


নিজেকে আবিস্কার করি, দেখি সামনে পুরনো স্মৃতিবেদী
ঝরা যত পাতা ছিল নিমেষে দুহাতে সরিয়ে দিলাম ।
সেখানে লেখা ফুটে ওঠে '' মনে রেখো মোরে ,
              আমি থাকবো তোমার অপেক্ষায় ।''
চোখ থেকে কী দুফোটা জল, বেদী মোছার চেষ্টা করি ।
কে যেন ককিয়ে কেঁদে উঠে বড় অস্পস্ট সে ধ্বনি;
বেদীতলে কান পাতি শুনি আর চমকে উঠি,
''মুছোনা ঝরতে দাও, তাপিত হৃদয়ে শান্তি আসুক,
কতদিন ধরে অসহায় আমি একলা পড়ে আছি ।
তোমাতে আমাতে হোক আবার পূর্ণমিলন ।
কত জন্মের ভালবাসা বিরহে পুড়ে এখন কনকবরণ ।
      এসো ভালবাসা আমার হাতে হাত রাখো ,
যাব প্রেমকুঞ্জে ইহলোক পরলোক মিলেমিশে যাক।''


অদ্ভুত আলো আঁধারের অপূর্ব স্রোতে ভেসে গেলাম ।