ঝরে গেছে মল্লিকা
যে ফুটেছিল রঙ রূপ রস গন্ধে ।
উঠানের এক কোনে নিজের মতো করে ;
মেলে ধরেছিল নিজেকে প্রকৃতির সাথে
    একান্ত আপন করে ।
পত্রে পুস্পে জানিয়ে দিল সে মল্লিকা ।
বলতে থাকে অবিরত অবাধ্য সমাজকথা ।
একটা একটা পাঁপড়ির উন্মোচনে উঠে আসে ,
      অসহায় মানুষের গোপন লজ্জার ভাষা ।
বিকৃত কিছু মানুষ অপকর্মের যত কাহিনী ।
দুভাগ হয় গঙ্গা, কালো পিচরাস্তা এপার অপার ;
বাঁকা চোখে মল্লিকা হয়ে পড়ে একঘরে ।
তবু মল্লিকা ফুটতে থাকে, বাতাসে দুলতে থাকে ।
রোদ্দুরের আল্ট্রাভায়োলেট নির্দ্ধিদায় করে উপেক্ষা ।
    রক্তচক্ষু তোয়াক্কা করেনা ।
নির্ভিক পদক্ষেপে আগামীর স্বপ্নে সে মশগুল !
তবু ও মল্লিকাকে অকালে চলে যেতে হয় !
শরীরে না ভালো হওয়া অবিরাম যন্ত্রণা নিয়ে,
সকাল দুপুর রাতে একমুখ হাসি ছড়িয়ে রাখত ।
সকল যন্ত্রণার অবসানে খসে পড়ল ভূমিকন্যা ।
        সেইদিন যে আজ মল্লিকা-
তোমার কবিতা তোমাকেই বারবার মনে করায় ।