কখনও জল পতনের শব্দ আতঙ্ক আনে,
পাতার মতো কাঁপায় মনের পর্দা।
ইচ্ছে জাগে ভীতু মাছ হয়ে  
আমিও গিয়ে লুকায় মাটির পাঁকে।
যেদিকে তাকায় দেখি
সর্বনাশ ছবি আঁকে মেঘের দেয়ালে।  

নিরব গলির অন্ধকার থেকে ভেসে আসে
অজস্র পায়ের আওয়াজ,
জানি না আছে কত বেজন্মা এই ভূতলে।  
নুড়ির চেয়ে ইবলিসের বংশধর অধিক বলে  
নেশাভুক রাত্রির বুকে,
একে একে যুবতীরা দিল আত্মাহুতি।  

ওরা কারা বেজন্মা-জারজ, প্রেরিত শয়তান ?
প্রতিক্ষণে আমাকেই ঘিরে থাকে, অদৃশ্য ছায়া !
আমি জানি ইবলিস তো থানকুনির ঝরা পাতা  
মন্ত্র-পাথরে কি আসে-যায়, বংশবৃদ্ধিতে অরুচি নাই।


         ----------------------


৫ মার্চ, ২০১১ খৃঃ
শারজাহ, ইউ এ ই ।