গোলাপ বেচতে আসা ছেলেটি তোমাকে আমার প্রেমিকা ভেবেছিল
তার কোনো যথাযথ কারণ আমার জানা নেই !


হয়তো সে শহরের ভারী বাতাসে হটাৎই আমাদের আবিষ্কার করেছিল  
খুঁজে পেয়েছিল তোমার ইতস্তত চোখে ভালোবাসার আশ্রয়স্থল I
কে জানত হয়তো সে ফুটপাতের অকাম্য মেয়েটিকে ভালোবেসেছিল
যাকে আমি নোংরা আঙুলের ব্যাস্ততায় চারটে পয়সা গুনতে দেখেছিলাম I
হয়তো সে মানুষের হৃৎপিণ্ডে কোদাল চালিয়ে জেনেছিল
ভালোবাসা কুষ্ট রোগীর মতো অচ্ছুত,
ইলেকট্রিক তারে ঝুলে থাকা ছেঁড়া ঘুড়ির মতো নিঃসঙ্গ
অন্ধকারে নিষিদ্ধ বিছানায় অসার অন্তর্বাস খোলা I


গোলাপ বেচতে আসা ছেলেটি তোমাকে আমার প্রেমিকা ভেবেছিল
আর যেতে যেতে শহরের পাঁজর ফাটিয়ে বলেছিলো-
"বিশ্বাস করুন স্যার, চেষ্টা করেও ফিরে যেতে পারি নাই !
যতবার তার কথা মনে পড়ে, কষ বেয়ে ঝরে পরে প্রস্তর যুগের কামনা
বিশ্বাস করুন, জীবন এভাবেই বয়ে যায়
বৃষ্টিতে ধাবমান ফাঁকা গাড়ির কাঁচ তুলে
এভাবেই কত ভালোবাসায় যবনিকা নেমে আসে"


পুনশ্চ: কবিতাটি 'মুজনাই পত্রিকায়" প্রকাশিত হয়েছে!