ফড়িং পাখায় মাখছে আলো
তন্বী পুকুর জল ছিটালো।
পায়রা গুলো অলপ্পেয়ে
বেসুর বেতাল উঠছে গেয়ে।
ঘাস ফড়িঙে মারলো ছলাং
ভীষণ জোয়ার মন যেন গাং।
কূট কচালি চড়ুই পাখি
ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখলো নাকি!
আম গাছে ওই কাঠ বিড়ালী
চিড়িক ডেকে পালায় খালি।
খাচ্ছে কেঁচো নরম মাটি
আন না খুঁজে শীতল পাটি।
শালের ফুলে ঘুর্ণি বড়
বাঁশের চেয়েও কঞ্চি দড়।
ভোরের আকাশ বললে এসে
করবি কি আর হিসেব কষে।
দুঃখ গুলো এমনি করে
দেবেই হানা রাত দুপুরে।
তাই বলে কি মুখ লুকোবি?
তাই বলে কি ক্ষান্ত দিবি?
গুমরে ওঠা কান্না ভুলে
মানের ঘরে শিকল তুলে,
আয় বেরিয়ে রৌদ্র সেঁকি
দুঃখ পুষে আর হবে কি।
আসবে আপন যাবেও আপন
ভাবের ঘরে জীবন যাপন।
মন উড়ে যাক হাওয়ার সাথে
ঘাম ঝরা দিন শীতল রাতে।
আয় না আবার বাঁচতে শিখি
বুকেই থাকুক কালবোশেখী।।