বাঁই বন বন ঘুরছে কবিতা মস্তকে
ছন্দের টান, করে আনচান প্রাণ যায়,
সুখ নেই দিলে অন্ত্যমিলের দস্তকে
মাত্রা ও তালে গেঁথেছে সবলে পাঞ্জায়।


যত খুঁজি মিল গরমিলই বুঝি ভাগ্যে
কলাটা মুলোটা ছন্দে মেলে না একদম,
লেগে থাকা চাই বাকিটা মশাই... যাক গে
টমটম দেখে কেন ভাসে চোখে  চমচম।


নাট বল্টুর রিস্তাটা গুরু প্যাঁচালো
তেমনি প্যাঁচালো কাব্যের যত বাই-লেন,
কর যদি ভুল এই বুঝি সব চ্যাঁচালো
বেজে গেলো বুঝি নাক উঁচুদের সাইরেন।


মন্দাক্রান্তা শুনে করে গাটা ছম ছম
পর্ব ও অতি পর্বতে মুখ ভ্যাংচায়,
স্বর অক্ষর কোনো বৃত্তই নয় কম
সনেটের ঘায়ে ঠ্যাং ভেঙে কবি ল্যাংচায়।


শব্দরা সব গড়াগড়ি দিয়ে কাগজে
আপন খুশিতে যেদিকে ইচ্ছে যাচ্ছে,
বৃথাই কবিতা সুড়সুড়ি দেয় মগজে
ভাব খুব তবু কেন কবি খাবি খাচ্ছে?