ছোট্ট বেলায় সেই শুনেছি, নকশীকাঁথার মাঠ,
কূল সীমানা নেই গো তাহার, বসতো সেথায় হাট।
মাঠের পাশে পিয়াল গাছ, আর সবুজ ঘাসের জমি,
সেই গাছেতে থাকত প্রিয় ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী।
বুদ্ধু থাকত পূব কোনেতে, ভুতুম যে দক্ষিনে,
লালকমল আর নীলকমলও আসতো সেথায় দিনে।
নীল দীঘিতে পানকৌড়ি ডুবকি দিতো জলে,
কাটতো সাঁতার রাজহংস, ভাসতো সদলবলে।
গল্প গাথার শেষ নেই ভাই নকশীকাঁথার মাঠ,
রূপকথার সব চরিত্তিরের সেথায় ঠাট বাট।



আজকে বলো কি হাল হল নকশীকাঁথার মাঠ,
চতুর্দিকে পড়ে আছে, সিমেন্ট, বালি, কাঠ।
বিল্ডার দের ছড়া ছড়ি, ভরা আপিস ঘর,
আকাশ ছোঁয়া বনবে বাড়ি, নক্সা ভয়ঙ্কর।
চতুর্দিকে লে আউটের ফলক গেছে লেগে,
মেশিন মানুষ একসাথে আজ, কাজ চলেছে বেগে,
নীল দিঘিতে, জলের রাইড আর বোটিং হবে নাকি,
পূব কোনেতে পাব হবে আর দক্ষিনে বার “সাকী”
রাস্তা হবে মস্ত বড়, শপিং মলের জাঁক,
সব কিছুতেই হচ্ছে প্ল্যানিং, নেই তো কোন ফাঁক।
হচ্ছে নতুন টাউনশীপ ওই নকশীকাঁথার মাঠ
ভোল বাজে সব গল্প গাঁথা, চুকলো সবার পাট