সমীরন তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে,
খুঁজি আজো তব হৃদয় স্পর্শী দৃষ্টি।
না কাটা দাড়ির ছোঁয়া লেগেছিল গালে,
কালকেও হল দ্যাখো রাতভর বৃষ্টি।


তোমার ফোনটা আন-রিচেবল আসছে,
সমীরন তুমি ফোন কেন তুলছো না?
ঘড়ির সময় টিক টিক করে বাড়ছে,
বড়ই বিপদ, তাড়াতাড়ি এসো সোনা।


তুমি নিশ্চয় বেইমান নও জানি তা,
তোমার ওপর এখনো অগাধ বিশ্বাস।
আমাকে নিয়েও করবে না কোন ভণিতা,
সেই আশাতেই পড়ছে এখনো নিঃশ্বাস।


তোমার বাবাটি  বিজনেসম্যান মস্ত,
আমার বাবা যে মুদীর দোকানে খাটে।
তোমরা থাকো অট্টালিকায় ব্যাস্ত,
আমাদের ঘরে ভাত কোনমতে জোটে।


দেখতেও তুমি রাজপুত্তুর একদম,
ঝাঁকড়া চুল আর হাল্কা হাল্কা দাড়ি।
নিস্পাপ চোখে প্রেম ভালবাসা হরদম,
গলিতে আসতে হাঁকিয়ে তোমার গাড়ি।


আমি নগন্য শ্যামলা একটি মেয়ে,
অপলক চোখে দেখতাম শুধু তোমাকে।
তুমিও কখন দেখলে আমারে চেয়ে,
হল ভালবাসা, পড়লাম আমি বিপাকে।


প্রেম হল আর হল ভালবাসা উত্তাল,
সব বাধা আর বন্ধন দিলে ঘুচিয়ে।
'বিয়েটা সারব দুএক মাসের ভিতরে',
আমাকে তো তুমি বলেছিলে বেশ বুঝিয়ে।


তারপর থেকে কি যে হল দোষ বড়,
গলির মুখেতে গাড়ি আসা হল বন্ধ।
আমার শরীর হোল যে কেমন তরো,
বাবা মার মুখে দিনরাত দেখি ধন্দ।


গরিব মানুষ, নেই তো অর্থ দুহাতে,
আছে ওইটুকু কুলমর্যাদা, সম্ভ্রম।
পারব না আমি আজ সেইটুকু খোয়াতে,
ফেলেছি হারিয়ে আজ আমি সব সংযম।


কোথা তুমি এসো সমীরন তাড়াতাড়ি,
হাতে যে সময় আজ সত্যই স্বল্প।
যদি কর দেরি, সমীরন, কর দেরি,
সবার মুখেতে সুনে নিও মোর গল্প।


তুমি ধোঁকা দেবে মনটা করেনা বিশ্বাস,
যাই হোক, তবু সমীরন থেকো ভাল,
সুখে থেকো তুমি, ভেব নাকো ছাইপাশ।
আমার কপাল হয়ত এমন ই কালো।