ঘাসের পাতায় তুর্কী নাচন কাঁপন হাওয়া,
আম কাঁঠালের পাতাতে লাল ধুলোর প্রলেপ।
চোখ জুড়নো গাঁদা ফুলের হলদে হাসি,
টানলি কেন আবার ধরে ওম মাখা লেপ।


চায়ের কাপে গরম হওয়া তিন চুমুকে,
তোর কথাতে বরফ জলেও নামতে পারি।
বাগান বেড়ায় খায় দোলা খায় বনের লতা,
এমন দিনে যায় নাকি কেউ বাপের বাড়ি?


সাত সকালে রোদ উঠেছে দুঃসাহসী,
রূপ সোনালি কবোষ্ণতার রঙ্গিন ছবি।
নিটোল হাতে সোনার চুড়ির রিমঝিমানি,
মনটা মাতাল, করবি কিরে পাগল কবি?


খসা পাতা চুরমুরিয়ে পায়ের চাপে,
আলতা পায়ে লাগতে পারে কাঁটার ছোঁয়া।
যাস নারে তুই দুপুরবেলা পুকুরপাড়ে,
মেঘ বাহারি জলের বুকে উঠবে ধোঁয়া।


শীতঘুমের এই গুটি শুটি মন্দ দুপুর,
ভরলি কেন আঁধার কালো মেঘলা ঝড়ে।
শীতের বুড়ি মুখ লুকিয়ে করল আড়ি,
নিম্নচাপের ছাপ পড়েছে এই শহরে।