অন্ধকার ভেঙ্গে ভেঙ্গে,
পথের প্রাজ্ঞতা শিখে চলেছিনু কত।
চোর বাজারের পিছে শালিক শালিক দুটি মেয়ে
উড়েছিলো নাকি অবশেষে, মেঘ ছোঁবে বলে।
কবীরের দোঁহার মতই, শীতফুল ঝড়েছিলো আকাশ চুইয়ে,
পবিত্রতা ভরে।
পথের পাশেতে, নিয়ন আলোর বেশে, কথা ভাসে,
ভাসে কত প্রেম নিয়ে ছিনিমিনি গাথা।
শীর্ণকায় কিশোরেরা, ফুটপাতে অবহেলে,
সামলায় জীবনের চতুরঙ্গ আক্রমন ধারা।
স্টেশনের পাশে, নোংরা পুকুরে,
ঘোলা চাঁদ গড়াগড়ি যায়।


এই সব গায়ে মেখে, শুষে নিয়ে শেষে,
পাগল হবার আশে, পথিক হয়েছি।
শালিক শালিক মেয়ে, রূপের গুমোরে
আবার উড়বে নাকি, মেঘ ছোঁবে বলে।
সামনে বাড়ায়ে হাত, হেঁটে যাই আমি
অনন্ত কাল ধরে, খুঁজি এক দিকশুন্যপুর,
অন্ধকার ভেঙ্গে ভেঙ্গে।