এই বিষণ্ণ ফাল্গুনে,
হঠাত চমকে উঠে ছ্যাঁকা লাগা হাত,
ছলকানো চায়ের ফোঁটাতে।
বেলের কাঁটার মত স্মৃতিকথা, শুধু বেঁধে মনের গহীনে।
পুরনো রোজনামচা, বার বার ফিরে ফিরে আসে,
লোটন পায়রার মতো করে ঝটপট।
কিছু অবোধ্য বেদনার ছোঁয়া, নাড়া দেয়,
মনের গোড়ায়।


এই বিষণ্ণ ফাল্গুনে,
বহমান ঘটনার স্রোতে ভেসে যাওয়া পল অনুপল,
কখনো তো থমকে দাঁড়ায়, উঁকি মারে জানালার পাশে।
হেসে বলে “ভাল আছ?”
জবাবের অপেক্ষা কখনো করে না,
বাতাসে সুগন্ধর মত, ধীরে ধীরে যায় বয়ে যায়।


এই বিষণ্ণ ফাল্গুনে,
আবিল নিস্তব্ধতা গ্রাস করে, কেড়ে নেয় সুখের ডালিটা,
ফ্যাকাসে চাঁদের আলো, বাতাসে ছড়ায়, হলুদ বিষণ্ণতা।
বেখেয়ালি মন, হাতড়ে বেরায়, বিষাদের সঠিক কারন।
এই বিরহী ফাল্গুনে, অনেক রঙের ভিড়ে,
সাদা কালো ছবি আঁকে মন।
পুরনো স্মৃতির দল রেষা রেষি করে, মাখায় বেদনা গুলাল।


এই বিষণ্ণ ফাল্গুনে,
তুমি নেই তাই, রঙিন বসন্তে আজ, চোখ ছোঁয়া শীতের আদর।
হোলির আগুনে তাই রাত পোড়ে, আর পোড়ে বিবাগী এ মন।