গোপালখুড়ো হাস্য-রসিক,          কথায় কথায় হাসে।
যতই বাজে হোক না কারন,        হাসতে ভাল বাসে।
আছাড় খেয়ে হাসে সবাই,           বিষম খেয়ে হাসি?
বসের মুখের বেদম গালি,           তাতেও খুড়ো খুশী!
তরকারিতে আরশোলা খায়,         বিকার কিছুই নাই।
এক্কেবারেই মন্দ তো নয়,           হাসছে তবু তাই।
গোমরা মুখো কুমড়ো পটাস,        দেখল যদি খুড়ো,
ধরবে চেপে খুব হাসাবে,             তবেই স্বস্তি পুরো।
হাস্য জ্ঞান আর রকম ভেদে,         খুড়োর নলেজ ভারি।
জেদ করছ, শোনই তবে,             বলছি তাড়াতাড়ি।
দেঁতো হাসি, অট্টহাসি,               মৃদুহাসি জানা।
প্যাঁকনা হাসি, ছেতরে হাসি,          বুদ্ধু হাসি নানা।
আরো আছে, ভোমলা হাসি ,          ফস্কা হাসি সার।
পটল হাসি, খুন্তি হাসি,               বলব কত আর।
পঁচিশ রকম আরো হাসি,              খুড়োর স্টকে আছে।
সাবধানেতে প্রয়োগ করে,             হয় বা চুরি পাছে।
হঠাত সেদিন রস ভঙ্গ,                 গোমড়া খুড়োর মুখ।
সারা দেশেই লম্ফ ঝম্প,             ভরল ভয়ে বুক।
বলছে সবাই প্রলয় এলো,             সবাই ভয়ে কাঁটা।
কেউ গুছলো তল্পি তল্পা,             বিদেশ দিল হাঁটা।
পড়ল শেষে আমার ঘাড়ে,             রহস্যভেদ দায়।
ঘেমে ঘষটে, অনেক কষ্টে,             করলাম উপায়।
জানতে পেলাম খুড়োর নাকি,          দাঁতের বেজায় কষ্ট।
এক দাঁতুড়ে বাচায় শেষে,              বলচি আমি পষ্ট।
দিচ্ছি না ঢপ সত্যি আমায়             বললে হাস্য গুরু।
দাঁত থাকতে দাঁতের কদর,           আজ থেকে হোক শুরু।