ভাবতেছিলেম, লিখবো কঠিন পদ্যখানা, খুব দুরূহ
বুঝতে মানা, ভীষন কঠিন শব্দ যত, ভরবো ঠেসে
মনের মত। যাক ভেঙ্গে দাঁত, জিভ জড়িয়ে, হোঁচট খেয়ে,
করবো যে মাত। অদ্ভু্তুড়ে না হোক মানে, বয়েই গেলো,
যত কঠিন ততই ভাল। ছন্দের স্বাছ্যন্দ ভুলে, হৃদয় খুলে,
লিখব কত শক্ত কথা, না যাক বোঝা, তাতেই বা কি, বুঝতে শেখো
হৃদয় দিয়ে, গভীর অনুভবের ব্যথা। ভাবের আবেশ থাকবে অধিক,
মাত্রা সঠিক। করবে মানে আপণ মনে, দায় পাঠকের, নাই বা মিলুক
কবির সনে। ভাবিয়েছি তো? তাই বা বল কমটা কিসের, হিসেব মতো।
এইনা ভেবে, কোমর কষে, ডুব দিয়েছি শব্দকোষে, ঢোকাই মাথায়
খটর মটর শব্দ যত, লিখছি খাতায়। রাত্তিরেতে নিদ্রাবেলায়, কুকুর ডাকে
ঘুম ভেঙ্গে যায়। বিজলী তো গুল, দারুন গরম, শব্দগুলো চোখ পাকিয়ে
নাচতে থাকে মাথার ভেতর, প্রলয় নাচন। বেদম খুশী, করব জাহির
সকালবেলা, বিদ্যে নতুন। হায়রে কপাল, লিখতে গিয়ে একি হল!
করল কেমন শয়তানীটা শব্দগুলো। পাই না খুঁজে, একজনাকেও
মনের মাঝে। ভীষন কঠিন পদ্য লেখা ইচ্ছে হয়ে রয়েই গেল অন্তরেতে।