.       শুক্কুর বারে, একলা  ঘরে, ঘুমোচ্ছিলাম রাতে,
        গিন্নী গেছে বাপের  বাড়ি, কেউ ছিলনা সাথে।
        লোডশেডিঙের দাপট বড়, আবছা আলো ঘরে,
        হঠাত  হল  নিদ্রাভঙ্গ,  দুলতেছে  কে চেয়ারে?


        ভগ্ন স্বরে, কষ্ট করে, আওয়াজ দিলাম “কে রে?”
        “ভঁয়  পাঁসনে, আমি যে তোর নবখুড়ো ও রে”।
        পাকিয়ে  মুঠি,  শিউড়ে  উঠি,  নবখুড়োর ভূত?
        বুঝল খুড়ো, বলল  হেসে, “তো কি হল, ধুত”।


        সামলে নিয়ে, জোর লাগিয়ে, সাহস আনি প্রাণে,
        শুধোই  আমি, “বল  খুড়ো, হেথায় কি কারনে?”
        “আমায় নিয়ে পদ্য লিখিস, সাহস যে তোর বড়?”
        “ভুল  হয়েছে, ঘাট হয়েছে, আর হবে না খুড়ো”।


        “আরে না না, ঠিকই আছে, জানছে আমায় লোকে”,
        বুঝতে পেলুম, ভুগছে খুড়ো, ফেমাস হওয়ার রোগে।
        “তাইলে বলো তোমার কথা, আছো কোথায় শুনি?
        প্রাত্যহিকী   জানাও,  সাথে  কে  বা  জ্ঞানী  গুনী?”


        “সাকিন  এখন  কঙ্কালপুর,  পঞ্চ  শ্মশান হাট,
        ফ্ল্যাট নিয়েছি বেলগাছেতে, করতেছি  ঠাঁট বাট।
        আশে  পাশে  আছে প্রচুর, জ্ঞানী  ভুতের মেলা
        মুখ ভেঙ্গিয়ে, ভয়  দেখিয়ে, কাটছে  ভূতূ বেলা।


        আছে আবার, অনেক প্রকার, খেলাধুলোর বাই,
        বাঁচতে  ছিল  কোমর  ব্যাথা, এখন সেটা নাই।
        মুন্ডু নিয়ে,  রাত কাঁপিয়ে,  খেলি  যে  ফুটবল,
        দাঁত  দেখিয়ে  মুন্ডু  হাসে, হয়  বা যদি গোল।


        খুব   সুন্দর  জায়গাখানা,  পচা  পুকুর   ভরা,
        চতুর্দিকে,   অস্থি   পাঁজর,  দৃশ্য    মনোহরা।
        বাজার হল হালে আবার, শপিং  মলের ধাঁচে,
        সেল লেগেছে, করব শপিং, পয়সা যদি বাঁচে।


        মাংস  পচা, রক্ত  তাজা,  পাই না  সেথা কি যে!
        যা খেতে চাও, ফ্রোজেন পাবে, হৃদয় বা কলিজে।
        অনেক  হল, যাই  রে  এবার, যাবো অনেক দূরে”
        এই না  বলে, জানলা  খুলে,  চলল  খুড়ো উড়ে।


        চেঁচিয়ে উঠি, “যাও গো খুড়ো, এই কথাটি বলে,
        নাগমশাইয়ের  প্রশ্ন, তুমি  কোন ভূতেরই দলে?”
        “এত  তোকে  শেখাই  পড়াই, জ্ঞান হল না রত্তি
        মানুষ  বেলায়  বামুন  ছিলাম,  এখন ব্রহ্মদত্যি”।